অনিকেশ দাশগুপ্ত

আগুন



মেঝে থেকে  আধপোড়া দেশলাই কাঠি হাতে তুলে নিই
ভাবি তার বারুদের সাথে মিলিয়ে যাওয়া কারো অসমাপ্ত  দীর্ঘশ্বাস
অথবা একটা মে দিবস কিভাবে ততধিক বিষাদঘন রাইমের জন্ম দেয়
হাঁটু ছড়ে যাওয়া রক্তাক্ত প্যারেড আর তত্ত্বপুষ্ট খামারের উপমা
অনেক কাহিনীর ধার ঘেঁষে এগিয়ে যায়  লাজুক ব্লু-বেল ফুল 
যেমন বিস্মৃত হয় অরণ্যময় জটিলতায় ।
বিরুদ্ধতায়  ধরা দেয় তিব্বতীয় প্রেয়ার হুইলের অপ্রবেশ্য গহীন
আমরা প্রত্যেকে লিখে রাখছি হারিয়ে যাওয়ার প্রান্তিক উপাখ্যান
পরিচিত শ্লোক জুড়ে আশীর্বাদের বুনোট 
আর চাবি দেওয়া পুতুলের সম্মতি
তবু কয়লাখনির এই শহরে তুষার বৃষ্টি এসে পড়ে
মানুষেরা ঠোঁটে তুলে নেয় তাত্ত্বিক আগুন ।

বেড়াল

এবং প্রত্যেকবার বেড়ালটিকে নতুন নামে ডাকি
ব্যবহারনির্দেশ বুঝে তার পায়ের ছোপ নিরীক্ষণ করি –

মোজেইকের ওপর, মেঝের টাইলসে , বাঁধানো সিমেন্টের গায়ে
বিভিন্ন আকৃতির ছোপ 
যেন একেকটা অসম্পূর্ণ  নামে পর্যায়ভুক্ত পরিক্রম   ।
হাঁটতে হাঁটতে; 
 বিক্ষিপ্ত শিকড় জড়িয়ে যাচ্ছে চার পায়ে ,
 অন্য বেড়ালের  কুৎসিত শিরোনাম,
তাদের  ঘুমভর্তি ঘনবদ্ধ ফিঙে উড়ে যাচ্ছে 
ক্রমাগত আকাশের দিকে ,
পৃথিবীময় বেড়ালের প্রতিভূ হয়ে ।

সুখ

অনেক ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে অজস্র শব্দে  যুদ্ধবিমান 
চড়ুইভাতির আধখাওয়া স্যালাড ,
গাছের তলায় গুলিবিদ্ধ দুই সৈন্যের বোঝাপড়া
ঘরমুখো শিশুদের বায়নাভরা অসংখ্য দুপুর শুধু
বয়ে গেছে মাঝখানে ।
ধূসর বেড়ালেরা কার্নিশে কার্নিশে আলগা আক্ষেপ রেখে যায়
যেমন  একটা পরিসর পেরিয়ে নির্মিত  আমি 
ভিজে যাচ্ছি,  ক্রমাগত
মাটির অনেক নীচে এভাবে  নির্বিকল্প দাঁড়িয়ে থেকে
দ্বিতীয় পৃথিবীর গন্তব্যহীন গভীর ছুঁয়ে দেখা ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন