তৈমুর খান

কেউকে বলি না এসব



সংকটের তীরে ময়ূরেরা নেমেছে আজ 

আমরা নৌকা ভাসাইনি 

আলোর যুগ ভেবে ভেবে অন্ধকারের পরির কাছে অলীক সমর্পণ 


একটাও নতুন বাঁশি কিনিনি 

বাজাবার ইচ্ছে নেই 

তোড়জোড়ের পাঁয়চারি নেই 

হুকুমনামার বিলোল উত্থান শুধু 

চাবুক হাতে শাসনের ভয় দেখায় 


কার দেশ ? কী শাসন  ? 

মানবিক পর্যায়ের স্কুলগুলি ঘণ্টা দোলায় 

কে দোলে তবে  ? 

বেইজ্জতির দাসত্বে মুগ্ধ নরনারী পাখনা মেলে উড়ে যেতে থাকে 

কোথায় যায় কেউ জানে না —

অনবদ্য ইতিকথার ভেতর সূর্য ডোবে 


ধান ভানতে ভানতে চোখ ছলকায় 

বসন্তের বারুদ জ্বলে ওঠে 

নাচের মুদ্রাগুলি অপেক্ষার উঠোনে 

ছায়াগানের মনস্তত্ত্ব কুড়িয়ে নেয় 


আমাদের ঘরে ফেরা হয় না 

চোখের ভাষাও কাজললিপ্ত 

অস্পষ্ট তাকিয়ে থাকে 

দূরে কোনও বিহ্বল অরণ্যের পাহাড়ে 

নেমে আসে অন্ধকারের ধুলো 


কেউকে বলি না এসব 

নিজে নিজে নিজেরই মস্তিষ্ক খরচ করে 

শূন্য বলের মতো গড়াতে থাকি...

২টি মন্তব্য: