অভিষেক ঘোষ

প্রাচীন যত খারাপ খবর


বরাহনন্দনের পিতা কেশরীর কিশোর কালের বন্ধু থাকা কালীন বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল,লেবু লজেন্স খাওয়া ছিল,ধানক্ষেতের পর ধানক্ষেত একসাথে ঘুরে বেড়ানো ছিল। সান্ধ্যকালে তখন জঙ্গলে জঙ্গলে ত্রিফলা আলোর এমন রশনাই ছড়িয়ে পরে নি  
ঝাপসা সাঁকোর নীচ দিয়ে বয়ে চলা মৃদুবর্ণমালার নদী থেকে কেউ কেউ অক্ষরের জ্বালানি নিয়ে যেতো বাড়িতে।তখন বাড়িতে বাড়িতে লেবুচিনির ঝোল,আমসত্তের বিছানা,ঘুঁটের চাঁদ থেকে পিছলে পরত ছাগলের পা,
এভাবেই দিন এগোতে থাকল,যত দিন এগোতে থাকল সংসারে সংসারে সেন্সার বোর্ডের সতর্ক বার্তা পৌঁছে গেল,কেউ গাল দেবে না,কেউ জামা খুলবে না কেউ হিশু টিসু করে ফেললে শুধু মুছিয়ে দিয়ে যাবে... 
এরপরে আরও এগোতে থাকল সময়। সময় এগিয়ে এগিয়ে খালপার, খাদ,হিমালয় পর্বতের মাথায় গিয়ে দাঁড়ালো ও বলল জামা খোলা বরাহকে আমি দেখেছিলাম সেই কিশোর কেশরীর সাথে পাতা বাহার জঙ্গলের জলে, একসাথে গা ভিজাতে,তখন আসলে জঙ্গলে জঙ্গলে ত্রিফলা আলোর রশনাই ছিল না...কোন রাজা ছিল না...একটা ভালবাসা ছিল যার নাম চিরকালই ভালবাসা ছিল। 



ওর ঝোলাতেই ছুটি আছে আসলে

সব ছুটির সুতো উড়তে উড়তে
বাতাসের ঠিকানা থেকে,তুলে আনে
জোর,
যেভাবে হাত মুঠো করে দেয়ালের 
অমসৃণ
যেভাবে হাত মুঠো করে দাঁড়িয়ে ছিল 
ভোড়। 
তার জিভে নরম পাখির চোখ পরতেই
ঠাণ্ডা পাখি আমায় বানান বলে দেয়
এখানে ছুঁড়ে ফ্যলা কবিতাদেরও যারা
কোলে তুলে নেয়
তাদের আর বলা যায় না স্নেহপ্রবণ মন
তাদের আর বলা যায় না রক্ষণশীল
তারা তো সমুদ্রের ঢেউ থেকে বেড়িয়ে
জাহাজের ঘরে ঘরে লাগিয়ে খিল,
কখনই আর নড়তে চায় না কেন্নোর 
গতিতে
কখনই আর ভেজা শিশিরের গল্প লেখে না
বরং ঘাসের গলায় জড়িয়ে রাখা সুতো দেখে
পায় ভয়
তখনই সূর্যোদয় হয় নদির উপকূলে  
কেউ কেউ চুলোয় যায় বলে,
কাউকে কাউকে চুল্লিতে যেতে হয়
তবু সে আগুন ফাটিয়ে বেড়িয়ে আসা লাশ
পায়ের শিরা,হাতের শিরা জলে নামিয়ে
রাখে,
তার পাশে কেউ না,শুধুই
একটি ঘুড়ির কাঠিতে বিঁধে থাকা পৃথিবী,
ঠায় বসে থাকে,
তারপর সব শুরু হলে আবার,হরিণ
জঙ্গল ছুটে চলে যায় কবিতার তৃষ্ণা ফেলে,
আমাদের বারো ইঞ্চির স্কেলে,আমরা জবাব মাপতে
মাপতে  মনে করি,
এখানে পাখির প্রশ্নেই একমাত্র জবাব দেব...
যে ছেলেধড়াটাকে ছোটবেলায় চিনতে পারি নি,
তার ঝোলায় ঢুকে একদিন ঘুরতে ঘুরতে, 
ঠিক হারিয়ে যাবো... 



ঘুমন্ত উত্তর

আমাদের সব শেষ না হলে, বুঝিনি আয়নার দাম 
ছায়া পতাকায় নেমে আসে পাহাড়,মরুভূমি,জলপাথর  
আগের কষ্ট আর বলি না কাউকে, যারা কষ্ট বোঝে 
তাদের চোখ দিয়ে বরফ গড়াতে গড়াতে  জমে গেলেই,
স্নেহকাতর?
বুকের আধদীঘি খানি স্থলে,সন্ধ্যে কেঁদে,   শান্ত মরে 
আধদীঘি খানি জলে,দুপুর ডোবে আর উঠে আসে 
শীত
সব উলে বোনা রাস্তাতে তোমার, শরীরের আগুন ছড়ায় 
যে তোমার কেউ না, নৈরাশ্যবাদি সূর্যআস্ত মাত্র,
অতি ঘৃণাময়,অতীত। 
সব বাস্তবকে সে জড়িয়ে নিয়ে পার করে সময়ের নদী  
চাবি হারিয়ে গেছে বোলে আর কেউ তালার কথা তোলে না...
যেখানে খুশি ঘুমন্ত পুতুলের ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে আসি আর,
তাকে ডাকি সমস্ত জীবন জুড়ে,
সে,উত্তর দিলেও...
কখনই চোখ খোলে না। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন